মোঃ কামরুজ্জামান , কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের খেলার মাঠ দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছিল পশু হাট মালিক। গত দুই বছর আগেও মাঠটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে মানববন্ধন করেছিল। উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা স্লোগান তুলেছিল ‘জান দিব মাঠ দিব না’।

পরবর্তীতে এলাকার কথিত ব্যক্তিদের ইন্ধনে তা ভন্ডুল হয়ে যায়। একমাত্র খেলার মাঠটি আবার চলে যায় পশু হাট মালিকের দখলে। কিন্তু এবার খেলার মাঠটি ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামে এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ। পাশে দাঁড়ায় চেতনায়-৭১ নামের সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সাথে দফায়-দফায় বৈঠকে বসেন তারা। অধ্যক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপে অবশেষে পশু হাট মালিকের অর্থায়নে খেলার মাঠ টি খেলার উপযোগী করে তুলতে বালি ভরাটের কাজ চলছে। এরই মধ্যে এলাকার আর্থিক সুবিধা ভোগী একটি স্বার্থন্বেষী একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়ার একটি পত্রিকায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। যা অধ্যক্ষের জন্য প্রচন্ড মানহানিকর বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ নিজেই।

সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রবিবার দুপুর ৩ ঘটিকার সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উঠতি বয়সী যুবসমাজ দের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে তারা বলেন, এটা একটি ষড়যন্ত্র। তারা এটাও বলেন একটি ছাত্রীকে জড়িয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত খেলার মাঠ কে কেন্দ্র করে এই ধরনের নাটক সাজিয়ে অধ্যক্ষ কে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। কারণ ওই স্বার্থন্বেষী মহল ইতিপূর্বে পশু হাট মালিকের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত একটি অর্থ পেত, যা এখন আর তারা পাবে না।

‘বালিয়াপাড়া আমাদের গ্রাম’ নামের একটি গ্রুপ পেজ আছে উক্ত গ্রুপে গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক যুবক সদস্য আছে যারা সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ কে রূপান্তরিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সকলের একই বক্তব্য যে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঘিরে মেয়েলি ঘটনা সাজিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তারা সকলেই উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে গ্রুপ পেইজে। তারা এটাও বলছেন এটা একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে গ্রামের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। অন্যদিকে একটি মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

এ বিষয়ে রবিবার সন্ধ্যায় পত্রিকা অফিসে অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকী এসে বলেন, ২৪ আগস্ট তারিখে আমার অফিস রুমে অফিস চলাকালীন সময়ে বেশ কিছু ছাত্রী ঢোকে। তার ভেতর থেকে একজন ছাত্রী আমাকে ধমকের স্বরে বলে আমার উপবৃত্তি আসলো না কেন? আমি তাকে একটু ধমক দিয়ে কথা বলেছি। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমার পিছে লেগে একটি মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করেছে আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।